চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইদ্রিসের আত্মীয়ের টাকা উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক-ভাবে ছাত্রদল নেতা শাওনসহ অন্যান্যরা ফেঁসে যান। বিষয়টি ভুলবুঝাবুজিত পেরে বাদি নাইম শেখের সাক্ষ্যর ভিত্তিতে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় গতকাল আদালত থেকে জামিন পান শাওন।
এর আগে গত শুক্রবার মামলার বাদীকে অপহরণ ও নির্যাতন করে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইদ্রিস ও হেলাল নাঈম শেখের কাছে ৩৭লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবে । টাকা উদ্ধারের জন্য ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওনের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি তার কয়েকজন পরিচিতদের নিয়ে নাঈম শেখের কাছে বিষয়টি সুরাহার জন্য যোগাযোগ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় দুই পক্ষের মধ্য। বাকবিতণ্ডায় নাঈম শেখ চাঁদাবাজি, ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও মারধর করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করে।
এই বিষয়ে নাছির উদ্দিন শাওন বলেন, যে ব্যাক্তির একাউন্ট থেকে নাঈম এর একাউন্ট এ টাকা দে ইদ্রিস সে ব্যাক্তি আমার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করেন এবং আমার আত্মীয়ও। বিপদে পড়ে তার পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য আমি পান্থপথ ট্রিপজায়ান’ ট্রাভেল এজেন্সিতে গিয়ে দেখি এই ঠিকানায় নাঈম শেখ এর কোন অফিস নেই। পরবর্তীতে ওই ঠিকানায় অফিস না থাকায় আমাদের মধ্য একটি সন্দেহ সৃষ্টি হয়। সন্দেহের জায়গা থেকে নাঈম শেখকে আমরা গুলশান এলাকায় খোঁজ পায়। সেখানে বিষয়টি সমাধানের জন্য চাপ দেয়। তিনি বিষয়টি সমাধান না করে গুলশান থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
শাওনের দাবি, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আমাকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
ছাত্রদল নেতা শাওন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে স্বীকার করে নাঈম শেখ বলেন, সাইফুল নামে আমার এক ব্যাক্তি আমার একাউন্টে ৩৭লাখ ৫০ হাজার পাঠায়। পরবর্তীতে সাইফুলের দেওয়া তিনটি একাউন্টে সেই টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ইদ্রিস নামে একজন আমার কাছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা তার বলে দাবি করে। একপর্যায়ে ইদ্রিস ও হেলাল ঢাবি ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিন শাওনসহ কয়েকজন ভুল বুজিয়ে আমার কাছে টাকা পাবে বলে জানায়। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিষয়টি একদম ভুল বুজা-বুজি।
তিনি আরও জানান এখানে শাওন কোন টাকা চাঁদা দাবী করেন নি ,সে যড়যন্ত্রের শিকার ,কোর্টে আমার সাক্ষ্যর প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল জামিন হয়। আমি একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছি। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করছে।
