কুবি প্রতিনিধি :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০২৪-২৫ বর্ষের স্নাতকের ভর্তিতে মাইগ্রেশন ফি বাতিলের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ।
রবিবার (১৮ মে) বেলা এগারোটার দিকে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে– কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পরে ভর্তি এবং মাইগ্রেশনের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। কিছু বিভাগে প্রায় ২২০০০ টাকা ভর্তি ফি দিতে হচ্ছে এবং মাইগ্রেশন ফি ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এর ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য এই অতিরিক্ত ফি বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত ফি না নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইকবাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাইগ্রেশনের নামে অতিরিক্ত ৫-৭ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট থেকে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টসাধ্য, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা শীঘ্রই এটা বন্ধের দাবি জানাই।’
ফার্মাসি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম ভুইঁয়া বলেন,’ গত কয়েক বছর বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি নাই। আমাদের সম্মিলিত দাবির মুখে প্রসাসন গুচ্ছ থেকে বের হয়েছে। তাই এবার আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির জন্য কথা বলতে পারি। আমরা লক্ষ্য করি যে শিক্ষার্থীরা একবার একটা ভর্তি হইলেও পছন্দের বিষয়ের আশায় মাইগ্রেশন সিস্টেম অন রাখে যে জন্য তারা কয়েকবার বিভিন্ন সাব্জেক্ট মাইগ্রেট হয়।।এই প্রক্রিয়ায় দেখা যায় প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষার্থীরা বিভাগের ফি ক্লাবের ফি দিতে হয় যেটা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ব্যায় বহুল হয়ে যায়। তাই আমরা দাবি তুলেছি প্রথমে যে বিভাগে ভর্তি হয় পরবর্তীতে শেষ বিভাগটাতে যাতে ওই শিক্ষার্থী উক্ত ফি পৌছায় দেয় এতে শিক্ষার্থীরা আর্থিক সংকট থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে। আমাদের ভিসি স্যার আশ্বস্থ করেছেন এটা পরিক্ষা কমিটিতে তুলবেন এবং ফি বাতিলের ব্যবস্থা করবেন৷ আমরা আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো কোনো সৎউত্তর না পাইলে আমরা আবার স্যারের কাছে যাবো এবং আরো কঠোর হবো।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, ‘ছাত্রদের কাছ থেকে আমি স্মারকলিপি পেয়েছি। এ বিষয় একা পদক্ষেপ নিতে পারব না, সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আজকের মিটিংয়ে আমি সকল বিভাগের প্রধান এবং অনুষদের ডিনদের আহবান করেছি, তারা মাইগ্রেশনের পর যেন ছাত্রদের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে কুবিতে প্রথম ধাপের ভর্তি শেষ হয় এবং প্রথম ধাপের ভর্তি শেষে ৩৯১ টি সিট ফাঁকা রয়েছে।
